খুনী যখন দলের,তখন!

রক্ষী বাহিনীর স্বভাব এখনো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যে থেকে যায়নি। যখন যারে খুশি মারতো,হয়রানী করতো,কখনো তার বিচার হয়নি। বিচার হবে কেমনে? সবাইতো বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। মনে করে দেখেন, ৭২ থেকে ৭৫ এর আগষ্ট পরযন্ত দেশের আইন শৃংখলা যেমন ছিল তারচেয়ে অনেক গুন বেশি বিশৃংখলা দেশে বিরাজমান। বাবাকে পেছনে ফেলতে না পারলেতো শেখ সাহেবের যোগ্য কইন্যা হওয়া যায়না! হাসিনা প্রমান করেছেন,তার বাবার চেয়ে তিনি অনেক দিক থেকেই বেশি যোগ্য! বিশেষ করে আইন শৃংখলা কিভাবে নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে হয় সেটা হাসিনা ভালো করেই জানেন।সরকারী ক্যাডারদের দ্বারা সম্ভব না হলে যোগ করে দেন নিজ দলের দলীয় ক্যাডারদের! তখন বন্দুকের গুলি আর আসমানে না গিয়ে,সোজা বিরোধী দলের কর্মীদের বুক ঝাঝরা করে দেয়। দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যাবস্থা আজ চরম হুমকির মুখে। একের পর এক খুন হয়েই চলছে। সকল শ্রেনীর জন সাধারণ আজ খুনের হাত থেকে বাঁচতে পারছেনা। এ বিষয়ে সরকার মহোদয়ের কোন প্রকার অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা,বিচারতো দুরের কথা। বিচার করবে ক্যামনে কন সাহেব,হক্কলেতো নৌকার লোক! দু একটি ঘটনার সর্বোচ্চ বিচার মানে মৃত্যুদন্ড দেয়া হলেও মৃত্যুদন্ডের আগের দিন মহামান্য রাষ্ট্রপতির মহান ক্ষমতাবলে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে! ফলে দলীয় খুনীরা দেধারছে তাদের খুনের কর্মসূচি ধারাবাহিক ভাবে পালন করে যাচ্ছে। তারা জানেইতো,খুন করলে কোন প্রকার শাস্তির সম্মুখিন তাদের হতে হবেনা! ফলে দেশ আজ খুনের রাজ্যে পরিণত হয়ে গেছে। বিগত মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ছিলেন সম্ভবত এ্যামনেস্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য,নইলে ক্যামনে ২৫ জন খুনের আসামীকে ক্ষমা করে দিলেন! যেখানে স্বাধীনতার পর থেকে তার সময়ের আগ পর্যন্ত সকল রাস্ট্রপতি মিলে ক্ষমা করেছিলেন মাত্র ১৫/১৬ জন আসামীকে আর তিনি একাই করলেন ২৫ জনকে! এরা সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগের কোন না কোন স্তরের নেতা। কাজেই নিশ্চিত থাকুন যে,হাজার খুন করেও আপনি ক্ষমা পেয়ে যাবেন, যদি হয়ে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। আওয়ামী লীগের কথা এজন্য বলছি যে,এ বিষয়ে তারা নোবেল পাওয়ার মতো রেকর্ড করে ফেলেছে। এজন্যই বুঝি দাবি উঠেছে,শেখ হাসিনাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হোক। একদিকে যখন বিরোধী দলের নেতাদের ফাঁসির উৎসবে মেতে উঠেছে অন্যদিকে দলীয় খুনীদের দেধারছে ক্ষমা করে দিয়ে জাতীকে হতবাক করে দিচ্ছে! কাজেই আসুন,কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে একসাথে বলি,জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু!