লোডিং... Loading.....................!

img
হোম
ব্লগ
সর্বাধিক পঠিত
সর্বাধিক আলোচিত
অনলাইনে আছেন
লগইন
রেজিস্ট্রেশন
মেনু বন্ধ করুন

মেনু বন্ধ করুন
img

আরিফ

কলম উত্তম তারিখঃ ডিসেম্বর ১৬, ২০২০ (বুধবার), ১০:৩৮
  • ৬৬
  • ০
  • ০
  • ০

বিজয় : অনেক ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া মধুর শব্দ



১৬ ডিসেম্বর। বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটেছিল। ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী অতর্কিতে বাঙালি জাতির ওপর সশস্ত্র আক্রমণ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করে প্রতিরোধ যুদ্ধের ডাক দেন। তবে সলতে পাকানোর কাজটি চলছিল আগে থেকেই। পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে যে বাঙালি জাতি অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারবে না – এটা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরই শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন। শুরু হয়েছিল বাঙালির মুক্তি আন্দোলন সংঘটনের নানামুখী তৎপরতা। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে তিনি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মুখোমুখী হয়েছেন। তিনি আপস করেননি। হতোদ্যম হননি। বাঙালির অধিকার আদায়কে তিনি তার প্রধান রাজনৈতিক লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। কোনো কিছুই তাকে লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেনি। তার প্রতি বাঙালির আস্থা-ভরসার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে। বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় একচেটিয়া ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছিল।

শেখ মুজিবের ওই বিপুল বিজয় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল। বাঙালির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে তাদের অনীহা ছিল। তাই তারা নির্বাচনের পর শুরু করেছিল প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আকস্মিকভাবে সংসদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি জাতি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। রাস্তায় বেরিয়ে আসে। বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো, ইয়াহিয়ার মুখে লাথি মারো বাংলাদেশ স্বাধীন করো ইত্যাদি স্লোগান ধ্বনিত হয় মানুষের মুখে মুখে। শুধু ঢাকা নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও বেরিয়ে আসে পথে।

সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করতে থাকায় পরিস্থিতি এমনিতেই ছিল অগ্নিগর্ভ। ১ মার্চ সংসদ অধিবেশন স্থগিত করে ইয়াহিয়া খান আগুনে ঘি ঢালেন। বিক্ষুব্ধ বাঙালিকে আর শান্ত করা যায়নি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয়েছিল অসহযোগ আন্দোলন। ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক জনসভা থেকে কার্যত স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন এই বলে যে, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বলেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ’।

মার্চ মাসের পঁচিশ তারিখ পাকিস্তানি বাহিনী রাতের অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালি জাতির ওপর। শুরু হয় যুদ্ধ, স্বাধীনতার যুদ্ধ। যুদ্ধের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তার ৭ মার্চের ভাষণেই ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলে যার যা কিছু আছে তা-ই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে বলেছিলেন। নিরস্ত্র বাঙালি জাতি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সশস্ত্র আক্রমণের মুখে যার যা কিছু আছে তা-ই নিয়ে যোদ্ধায় পরিণত হয়েছিল। তারপর নয় মাস জুড়ে বাঙালি জাতি রচনা করেছিল এক নতুন ইতিহাস । ইতিহাসে বাঙালির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ওই লড়াই কোনো সাধারণ ঘটনা ছিল না। একাত্তরের নভেম্বরের শেষ দিকেই এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে পাকিস্তানি বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ প্রবল হচ্ছিল। চারদিক থেকে আক্রান্ত হয়ে তাদের নাস্তানাবুদ অবস্থা। তারা ঘাঁটি রক্ষা করতে পারছিল না। পিছু হটছিল। মুক্তাঞ্চলের পরিমাণ বাড়ছিল।

বেসামাল পাকিস্তান একাত্তরের ডিসেম্বরের তিন তারিখ ভারত আক্রমণের মধ্য দিয়ে চরম ভুলটি করে বসে। তখনই বাংলাদেশে তাদের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ডিসেম্বরের এক তারিখ থেকেই পাকিস্তানিদের পরাজয়ের ক্ষণ গণনা শুরু হয়। জেলা শহরগহলো মুক্তি ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর দখলে আসতে থাকে। চূড়ান্ত পরাজয়-পর্ব কীভাবে হবে তা নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে আলোচনা, জল্পনা-কল্পনা, তখন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল সাম মানেক’শ বেতারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উদ্দেশে একটি বাণী প্রচার করেন। এটা লিফলেট আকারে ছেপে বিমান থেকে ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। এর মূল কথা ছিল, তোমারা (পাকিস্তানি সেনারা) চারদিক থেকে অবরুদ্ধ আছো। কাজেই অস্ত্রসমর্পণ করো। (চারি তরফছে ঘিরে হুয়ে হায়, হাতিয়ার ডাল দো)। কোনোভাবেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয় বুঝতে পেরে অবশেষে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশে দখলদার পাকি জেনারেল নিয়াজী। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন জেনারেল নিয়াজী। নব্বই হাজারের বেশি সৈন্য নিয়ে তারা মাথা নত করে পরাজয় স্বীকার করে নেয়। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র বাস্তব রূপ পায়। রক্ত-অশ্রু-কষ্ট-যন্ত্রণার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীনতা, আমাদের বিজয়। সত্যি ‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়’।

আমরা বিজয়ী হয়েছি। পাকিস্তান পরাজিত হয়েছে। পাকিস্তানি রাষ্ট্রদর্শন এবং তার সমর্থকদের পরাজিত করেই বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর কি আসলেই সব বাঙালি আনন্দে উদ্বেল হয়েছিল? দেশ শত্রু মুক্ত হওয়ায় সব বাঙালি কি বিজয় আনন্দে মেতেছিল? না, সেদিন কেউ কেউ বিষণ্ণ হয়েছিলেন। পাকিস্তান ভাঙার মনোবেদনায় তারা মুহ্যমান ছিলেন। আমরা অনেকে যখন আনন্দে দিশেহারা, তখন পরাজিতরা মনে কষ্ট চেপে কষছিল নতুন পরিকল্পনা। প্রতিশোধ গ্রহণের পরিকল্পনা।

সেদিন যদি ওরা পরাজিত না হয়ে আমরা পরাজিত হতাম তাহলে কি হতো? বিজয়ের ৪৯ বছর পরে এসে এই জিজ্ঞাসাটাই আজ বড় হয়ে সামনে আসছে।

যারা পরাজিত হয়েছিল তাদের একটি রাজনৈতিক দর্শন ছিল। তারা ছিল গণবিরোধী, শোষক, ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক এবং স্বৈরাচারী। আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম এসব থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই। আমাদের যুদ্ধ ছিল স্বাধীনতার, মুক্তির। একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, একটি জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকার সঙ্গে আমরা সেদিন শোষণ-বঞ্চনা থেকেও মুক্তি চেয়েছিলাম।

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের পরাজয়ে আমাদের স্বাধীনতা নিশ্চিত হলো। কিন্তু মুক্তি কি পেলাম? ৪৯ বছরে আমরা এগিয়েছি অনেক। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতুর মতো একটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় সক্ষমতা দেখাতে পেরেছি। পদ্মা সেতু আজ আমাদের আত্মমর্যাদা, গৌরব ও সম্মানের প্রতীক। আবার সামনে চ্যালেঞ্জও কম নেই। দেশে হয়তো এখন না খেয়ে থাকা মানুষ নেই। সরকার নানা ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করায় দারিদ্র্য কমছে। মোটা ভাত, মোটা কাপড়ের চাহিদা পূরণ হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবাও একেবারে ধরা ছোঁয়ার বাইরে নয়। শিশু মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগিয়েছে। তবে এটাও ঠিক যে দেশে ধনবৈষম্যও প্রকট হয়েছে। কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। সব মানুষের জন্য সমান নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়নি। সমতাভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়ায়নি। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এত বছর পরে এসেও নড়বড়ে দেখতে হচ্ছে। ভোটের ব্যবস্থাও বিতর্কমুক্ত হয়নি। রাজনীতি কবে সুস্থ ধারায় ফিরবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার মতো ঘটনা ঘটলেও এটা বলা যায় না যে, দেশে প্রকৃত অর্থে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে রাজনীতির যে উল্টো যাত্রা শুরু হয়েছিল তার গতিমুখ পরিপূর্ণভাবে ঘুরিয়ে দেওয়া এখনও সম্ভব হয়নি।

সব থেকে বড় বিপদের কথা হলো, পরাজিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদর্শনে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা দেশে মনে হয় বাড়ছে। ধর্ম আর যার যার বিশ্বাসের বিষয় না থেকে রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠছে। যেসব ক্ষত থেকে মুক্তির জন্য জীবন ও সম্ভ্রম দিয়েছি, সে ক্ষতই আবার বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে। পরাজিতের দর্শনই যদি আমরা গ্রহণ কিংবা অনুসরণ করি তাহলে বিজয়ের গর্ব করার কোনো অধিকার আমাদের থাকে কি?

আমাদের আবেগ-উচ্ছ্বাস সবই দিবসকেন্দ্রিক। বিজয় দিবসেও আমরা উচ্ছ্বাস করব, নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করব কিন্তু বিজয়ের মধ্য দিয়ে যা অর্জন করতে চেয়েছি তা কি অর্জন ও রক্ষা করতে পারছি?

আমরা গালভরা বুলি কপচাই। বলি – আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত, এ রক্ত পরাভব মানে না।

কিন্তু জাতির পতাকা পুরানা শকুন খুবলে ধরলেও আমরা থাকি নির্বিকার। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ সমার্থক বলে আমরা বক্তৃতা করি। অথচ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে, মুজিব বর্ষে, বিজয়ের মাসে আমাদের এটাও দেখতে হচ্ছে যে, এক শ্রেণির ধর্মোন্মাদ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার দুঃসাহস দেখাতে পারছে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতির জন্য এটা চরম লজ্জা ও অপমানের।

কেউ এটা মানতে না চাইলেও সত্য হলো, শত্রুরা ঐক্যবদ্ধ। আর আমাদের চলছে নানা মতে, নানা পথের দলাদলি। ওরা দিচ্ছে কূটকচাল। আমরা করছি কূটতর্ক। একাত্তরে যারা এক সঙ্গে ছিলাম এখন তারা একসঙ্গে নেই। পরাজিতরা জেতার জন্য ক্রমাগত কৌশল বদল করে আমাদের ঘায়েল করছে। দৃশ্যপট পালটাতে হবে। এবারের বিজয় দিবস কি আমাদের ভ্রান্তিমোচনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে? মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ব ঠিক আছে কিন্তু শত্রুর সঙ্গে গলাগলি আর কত? এটা ঠিক গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ, যে দলের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রক্ষমতায় কারা আছেন সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনি দেশ কোন নীতি-আদর্শ দ্বারা চালিত হচ্ছে, সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হচ্ছে। আবার যে সমতা-সাম্যের স্বপ্ন মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল সে লক্ষ্য থেকে দূরে সরার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে।

এবারের বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক: আমরা যেন আর পেছনে না হাঁটি। আত্মসমর্পণের মনোভাব পরিহার করি। একাত্তরের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য থেকে আমরা যেন বিচ্যুত না হই। আমরা আমাদের অর্জিত বিজয়কে যেন ছিনতাইকারীদের হাত থেকে আবার আমাদের করতলে আনতে পারি। আমরা নিজেরা যে ইতিহাস রচনা করেছি, সে ইতিহাস যেন আর বিকৃত করার সুযোগ কেউ না পায়।

বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মরণ করি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায়। জয় বাংলা।

ধন্যবাদ

x

প্রত্যুত্তর দিন

লিঙ্ক ইমো ছবি ছবি ভিডিও
ছবি আপলোড

    A PHP Error was encountered

    Severity: Notice

    Message: Undefined variable: smiley_table2

    Filename: views/detail.php

    Line Number: 598

    কপিরাইট 2014.
    সকল স্বত্ব সংরক্ষিত