ছাত্রলীগের বর্বর হামলা থেকে রেহাই পেলেন না শিক্ষকও
আজ বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পূর্ব ঘোষিত সংবাদ সম্মেলন ছিল। সংবাদ সম্মেলনের প্রাক্কালে এটি পণ্ড করে দেয়ার জন্য হামলা চালায় ছাত্রলীগের গুণ্ডারা। তারা হামলা করে যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূরকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এতে মারাত্মক আহত হয় নুরু।
নুরুসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার সময় নিজের পরিচয় দেয়ার পরও রেহাই পাননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লাইব্রেরিয়ান এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. জাভেদ আহমেদ। হামলার সময় নুরুকে বাঁচাতে জাভেদ আহমদ স্যার এগিয়ে আসেন।
জাভেদ আহমেদ এগিয়ে গেলে তার পা জড়িয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করেন নূর।নূরকে রক্ষা করতে জাভেদ আহমেদ নিজের পরিচয় দেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাভেদ আহমেদের ওপর চড়াও হন। এতে তার হাতের তালু কেটে যায়।
ড. জাভেদ আহমেদ বলেন, আমি নিজেকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দেয়ার পরও তারা আমার ওপরও চড়াও হয়েছে। আমার হাতের তালু কেটে গেছে।
তিনি বলেন, মানুষ মানুষকে এভাবে মারতে পারে না। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও তোমরা সবাই ছাত্র। সহপাঠী সহপাঠীর ওপর এভাবে হামলা করতে পারে না।
বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে উপস্থিত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এ সময় মুখোমুখি অবস্থান নেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় আন্দোলনকারীদের পাঁচ-ছয়জনকে মারধর করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোটা সংস্কারের আরেক নেতা মশিউরকে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে দিয়ে জোরপূর্বক বিভ্রান্তিমূলক ভিডিও বক্তব্য প্রচার করে যাতে আন্দোলন ভেস্তে যায়।