জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৪ মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট অফিসকে এ সময়ের মধ্যে আপিলের পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালত রায়ে বলেছেন, পেপারবুক তৈরি হলে এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হবে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন, রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছার পর মুক্তি পাবেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা রায়ের কপি আগামীকাল মঙ্গলবার ট্রায়াল কোর্ট- ঢাকার বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে নিয়ে যাব। চেষ্টা করবো আগামীকালই সেখান থেকে জামিন আদেশ নিয়ে কারাগারে পৌঁছানোর। এসব প্রক্রিয়া শেষে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসবেন বেগম জিয়া।
এদিকে, আজ রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তাৎক্ষণিকভাবে রায়টি দুই দিনের জন্য স্থগিত রাখার আবেদন জানালে আদালত তা নামঞ্জুর করে দেন।
এছাড়া দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানিয়েছেন, দুদকের সাথে আলোচনা করে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী রায়ের বিপক্ষে আপিল করা হবে।
এর আগে গতকাল রোববার বিশেষ আদালতের রায়ের নথি হাইকোর্টে না পৌঁছায় আদালত আদেশের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন। পরে গতকালই দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে পুলিশ পাহারায় বড় একটি ট্রাংকে করে মামলার নথি হাইকোর্টে আসে।
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের আদেশের দিন ধার্য থাকায় গতকাল সকালে কয়েক শ’ আইনজীবী, বিএনপির শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা আদালতে উপস্থিত হন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে আদালতে ছিলেন মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আমিনুল হক, এ জে মোহাম্মদ আলী, আবদুর রেজাক খান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, নিতাই রায় চৌধুরী, বদরুদ্দোজা বাদল, আমিনুল ইসলাম, কায়সার কামাল, নওশাদ জমির, জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পে খুরশীদ আলম খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবদিন ফারুক প্রমুখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।